বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের কালুপাড়া মহদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বিদ্যালয়ের মাঠে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষকদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
অভিযোগ বলা হয়েছে, বিদ্যালয়টি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর হইতে বিদ্যালয়ে নানা অপকর্মে জড়িত। তিনি দীর্ঘদিন যাবত প্রতিষ্ঠানের নামীয় জমি জমা কাউকে না জানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার নিজস্ব আস্থাভাজন লোকজনকে লীজ প্রদান করে আসছে। প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিক হিসার না দিয়ে নিজে আত্মসাত করিয়া আসিতেছে। তার সমস্ত অপকর্ম বৈধতা দেওয়ার জন্য তার আপন ছোট ভাই মো. আহসান হাবিবকে এই প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচন করেন।
প্রধান শিক্ষক পূর্বে কর্মরত প্রতিষ্ঠানে এবং বর্তমান কর্মরত প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি মহদিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে গরে তুলেন। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে তিনি ব্যক্তিগত সময় ব্যয় করেন। এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ তাকে চাপ দিলে উক্ত শিক্ষিকা (এক সন্তানের জননী) শিক্ষিকাকে বিবাহ করেন বলে স্বীকার করেন। পরে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা শিক্ষিকার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি তালাকের কাগজ পায়নি।
স্হানীয় অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার নাতনি এই বিদ্যালয়ে পড়ে তাই আমি এখানে এসেছেি প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান কুকীর্তি সম্পর্কে বলতে। একই বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা বেগমকে সে কিভাবে বিয়ে করে।সুলতানার স্বামী সন্তান থাকতে। প্রধান শিক্ষক যদি এধরণের কুকর্ম করতে থাকে তাহলে আমাদের বাচ্চারা নিরাপত্তায় থাকবে কিভাবে। তাই এই মিজানুর অপসারণ চাই।
জিয়ারুল ইসলাম নামে একজন অভিভাবক বলেন, এই দূনীতিবাজ অনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
অভিভাবক এলাকাবাসীরা মানববন্ধনে বলেন, মহদীপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক পূর্বেও অনেক অপকর্ম করেছে। কিছুদিন আগে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে এখনো তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের যে জমিগুলো রয়েছে সম্পূর্ণ জমি নিজস্ব লোককে লিজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয় এর এক শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। আমরা এই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চাই। আমরা ইউএনও মহোদয় ও শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।